আজ থেকে
প্রায় ১০ , ২০ বছর আগে বাংলার গ্রামে প্রতি ঘণ্টায় , ঘণ্টা বাজানো হতো এতে
করে মানুষ বুজতে পারতো কত ঘণ্টা বা কয়টা বাজে ।সে সময় ঘড়ির এতো প্রচলন ছিল
না সেই ছোটে বেলা থেকে শুনে আসছি Time And Tide Wait For none । আর এই সময় মাপার যন্তটি আমরা দেখে আসছি ঘড়ির মাধ্যমে । এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যারা কিনা প্রতিদিন একবার না হলেও ঘড়ি দেখেন না। তবে এই ঘড়ির ইতিহাস আমরা অনেকই জানি না !!!
তাই আজ একটু শেয়ার করলাম আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে
সূর্যঘড়ি : এটি প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি। আনুমানিক সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে মিসর ও ব্যালিবনে এর উৎপত্তি।
এটি আজও টিকে আছে। সেকেন্ড ও মিনিটের কাটা নেই,নেই কোন টিকটিক শব্দ। তবে সময় দেয় একদম নিখুঁত।
গোলাকার চাকতিতে একটি নির্দেশক কাঁটা ও দাগ কাটা সময়ের ঘর,এ নিয়েই সূর্যঘড়ি।
মাত্র ৭০০ বছর আগে লাতিন শব্দ ‘ক্লক্কা’ থেকে এসেছে ক্লক।ক্লক্কা মানে ঘন্টি।
যদিও
ইতিহাসেও এই মূল্যবান আবিষ্কারটির আবিষ্কারক হিসেবে কোন নির্দিষ্ট
ব্যক্তির নাম পাওয়া যায়না। তবে সূর্য ঘড়ির ব্যবহার শুরু অনেক কাল আগে
থেকেই। ধারণা করা হয় মিশরীয়রাই প্রথম প্রকৃতিনির্ভর অর্থাৎ সূর্য-ঘড়ি
নির্মাণ করেছিল আর ১৪ শতাব্দীতে এসে ইউরোপিয়ানরাই এই তত্বের উপর ভিত্তি করে
প্রথম যান্ত্রিক ঘড়ি আবিষ্কার করেন।
কিন্তু
১৪ শতকের দিকে নির্মিত ঘড়িগুলোতে শুধুমাত্র ঘন্টা নির্দেশ করতে সক্ষম হত,
মিনিট বা সেকেন্ড নির্ণয় করতে পারতোনা। তাছাড়া বর্তমান ঘড়ির দুই ঘন্টা ছিল
সেই ঘড়ির হিসেবে এক দিন, যার মানে একদিনে ঘড়িটি মাত্র দুবার ৩৬০ ডিগ্রী
কোণে ঘুড়তে পারতো। অর্থাৎ এই ঘড়ি দিয়ে সম্পূর্ণ নির্ভুল ও সূক্ষ সময় গণনা
করা যেত না।
অবশেষে
ডাচ জ্যোতির্বিদ ক্রিশ্চিয়ার হাইজেন্স (Christian Huygens) ১৬৫৭ সালে এসে
সম্পূর্ণ নির্ভুলভাবে মিনিট, সেকেন্ড ও ঘন্টা নির্দেশকারী উন্নতমানের
যান্ত্রিক ঘড়ির নকশা করেন।
A photo for the history books: the world’s first atomic clock, taken in 1949.
এটি হল বিশ্বের প্রথম অটোমেটিক ঘড়ি
আজ আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম দারুন কিছু ঘড়ি আপনার পিসির জন্য আশা করি সবার কাছে ভালো লাগবে
Post a Comment